দেবদারু ফটকের পুজোয় এবার দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ
এবার বেহালা দেবদারু ফটকের পুজোয় দর্শনার্থীদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পর দ্বিতীয় পুজো প্যান্ডেল হিসেবে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল বেহালা দেবদারু ফটক পুজো কমিটি। এ বছর তাদের পুজো ৪৮ তম বর্ষে পা দিয়েছে। ক্লাবের সভাপতি শক্তিপদ মণ্ডল বলছিলেন, বেহালা ক্লাব, আদর্শ পল্লি আর দেবদারু ফটক- এই তিন ক্লাবের হাত ধরেই বেহালায় থিম পুজোর খাতে খড়ি। সেই ৯৮ সাল থেকে দেবদারু ফটকে থিম পুজো আয়োজিত হচ্ছে। এবারও যতটা সম্ভব কম পরিসরে পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা মেনে রাস্তার অনেকটা কাছে এগিয়ে আনা হয়েছে মণ্ডপ। যাতে প্যান্ডেলে না ঢুকেও মায়ের দর্শন করে সোজা রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারেন মানুষ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতি ক্লাবকে এ নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করে। দর্শনার্থীদের প্রবেশের অনুমতি না দেওয়ার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত কঠিন ছিল। কিন্তু দীর্ঘ আলোচনার পর এই পরিস্থিতিতে এটাই সঠিক সিদ্ধান্ত বলে মনে হয়েছে। কিন্তু মেন রোডের উপর একটি জায়ান্ট স্ক্রিনে প্যান্ডেল দেখানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পাশাপাশি পুজো যাতে বাড়ি বসেই লাইভ দেখা যায়, সেই চেষ্টাও করছেন উদ্যোক্তারা। এছাড়া পুজো দেখাতে একাধিক অ্যাপের সঙ্গেও হাত মিলিয়েছে দেবদারু ফটক। আর ক্লাবের ফেসবুক পেজ থেকেও দেখে নেওয়া যাবে মণ্ডপ সজ্জা। এবার তাদের থিম শব্দযাপন। একদিকে শহরের ক্যাকোফনি আর অন্যদিকে আচমকা লকডাউনে ফিরে পাওয়া প্রকৃতি ও পাখিদের কলরব- এই দুই শব্দের সহাবস্থান ঘটিয়েছেন শিল্পী শুভদীপ ও সুমি মজুমদার। একচালায় মায়ের মমতাময়ী রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন প্রতিমাশিল্পী সৌমেন পাল। এসবই দেখতে পাবেন বাঙালি। তবে ভারচুয়ালি। আরও পড়ুনঃ শহরের পুজো প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে মণ্ডপ পরিদর্শন স্বয়ং নগরপালের প্রসঙ্গত, বুধবারই শহরের ঐতিহ্যবাহী পুজো কমিটি সন্তোষ মিত্র স্কোয়্যার জানিয়েছিল, অনেক চিন্তাভাবনা, আলাপ-আলোচনার পর দর্শকহীন পুজোই করবে তারা। অর্থাৎ ক্লাব সদস্য ছাড়া আর কাউকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে না।